পর্যটকদের আকৃষ্টকরণে শপিংমল

পর্যটন শিল্পে শপিংমলের ভুমিকা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।  শপিংমলের ধারণাটা শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৬৪ বছর আগে। ভিক্টর গ্রুয়েন নামের এক বিখ্যাত মার্কিন স্থপতি শপিং মলের ধারণাটি নিয়ে আসেন। তিনি মূলত ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের নকশা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তিনি ডিপার্টমেন্টাল স্টোর তৈরি করার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ছিলেন। ১৯৪৮ সালের শীতের এক সময়ে ভিক্টর গ্রুয়েন নিউইয়র্ক যাচ্ছিলেন। কিন্তু মিশিগানের ডেট্রয়েট নামক স্থানে তুষার ঝড়ের কারণে তাদের বহনকারী বিমান জরুরি অবতরণ করে। আবহাওয়া এতটাই বৈরি হয়ে ওঠে যে, বিমান পুনরায় কখন ছাড়বে সে বিষয়ে কেউ নির্দিষ্ট করে কিছুই বলতে পারছিল না। কিন্তু ঝড় না থামলে যে বিমান ছাড়বে না এটা নিশ্চিত করা হয়। এই সুযোগে তিনি ডেট্রয়েটে রাত যাপনের জন্য ঠাঁই খুঁজতে লাগলেন। শেষমেষ তিনি হাডসন’স নামক একটি জনপ্রিয় ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে নিজের থাকার বন্দোবস্ত করতে সক্ষম হন। তখনকার দিনে মিশিগানের সবচেয়ে বিখ্যাত ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ছিল সেটি।

তিনি শুয়ে-বসে সময় না কাটিয়ে হাডসন’স-এর এক কর্মচারীকে নিয়ে শহর ঘুরে দেখতে লাগলেন। তার এই ঘুরে দেখার ক্ষেত্রে প্রাধান্য পেল ওই শহরের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের নকশা ও কাঠামো। বলা প্রয়োজন যে, ভিক্টর গ্রুয়েন শহর দেখে খুব একটা সন্তুষ্ট হতে পারেননি। কারণ সেখানে যত্রতত্র দোকান-পাট উঠেছে। তার কাছে শহরটি অপরিষ্কার ও অগোছালো মনে হলো। অবশ্য বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকার অধিকাংশ অঙ্গরাজ্যের শহরগুলোর অবস্থা এমনটাই ছিল।

শহরটির কেন্দ্রস্থলের অ্যাপার্টমেন্টের ভাড়ার চেয়ে শহরতলীগুলোর একটা পুরো বাড়ির ভাড়া কম ছিল। তাই অর্থনৈতিকভাবে অস্বচ্ছল পরিবারসহ অনেক মধ্যবিত্তরা শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে আশেপাশের শহরতলীগুলোতে স্থানান্তরিত হতে থাকে। এতে করে হাডসন’স এর ক্রেতার সংখ্যা কমতে শুরু করে। ভিক্টর গ্রুয়েন বুঝতে পারলেন, এভাবে চলতে থাকলে ডেট্রয়েটের এই জনপ্রিয় ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ক্ষতির সম্মুখীন হবে। এই ভেবে তিনি নিউইয়র্কে পৌঁছানোর পর হাডসন’স-এর মালিক পক্ষকে একটি চিঠি লিখলেন। চিঠিতে উল্লেখ করলেন, যেহেতু শহরের অধিকাংশ মানুষ শহরতলীগুলোতে স্থানান্তরিত হচ্ছে। সেহেতু হাডসন’স-এর উচিত শহরতলীগুলোতে তাদের শাখা খোলা।

হাডসন’স কর্তৃপক্ষ চিঠিটি পাওয়ার পর ভিক্টর গ্রুয়েনকে তাদের কোম্পানিতে নিয়োগ দেয়। গ্রুয়েনের ওপর দায়িত্ব পড়ে বিভিন্ন শহরতলীগুলোতে হাডসন’স-এর শাখা খোলার জন্য বাণিজ্যিক সুবিধাসহ উপযুক্ত ভবন খোঁজা। গ্রুয়েন তার সাধ্যমতো খোঁজাখুঁজি করে উপযুক্ত কোনো ভবন পেলেন না। তাই গ্রুয়েন মালিকপক্ষকে পরামর্শ দিলেন অন্যের ভবন ভাড়ার জন্য না খুঁজে নিজেদের ভবন তৈরি করে নিতে। গ্রুয়েন তার পরামর্শের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন যে, তাদের নিজেদের ভবন হলে সেখানে হাডসন’স ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ছাড়াও কোম্পানির অন্যান্য ব্যবসার শাখাও খোলা যাবে।

পাশাপাশি ওই ভবনের কিছু অংশ অন্যান্য ব্যবসায়ীদের কাছে ভাড়া দিলে সেটার মাধ্যমে রিয়েল এস্টেটের ব্যবসাও করা যাবে। তাতে কোম্পানির ব্যবসা আরো প্রসারিত হবে এবং অনেক লাভও হবে। গ্রুয়েন এই ধারণা থেকে হাডসন’স কোম্পানিকে বিভিন্ন স্থানে ইস্টল্যান্ড, নর্থল্যান্ড, সাউথল্যান্ড এবং ওয়েস্টল্যান্ড নামে চারটি বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের পরামর্শ দেন। অবশেষে ১৯৫২ সালে মিশিগানের সাউথফিল্ড নামক শহরে নর্থল্যান্ড শপিংমলের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১৯৫৪ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ওই বছরের ২২ মার্চ উদ্বোধন করা হয় নর্থল্যান্ড শপিং মল। ১৫৯ একর জমির ওপর নির্মিত নর্থল্যান্ড শপিং মল ছিল সেই সময়ে পৃথিবীর সর্ব প্রথম শপিং মল। আর এভাবেই শপিং মলের সূচনা।

রাজধানীতে শপিংমল

আমাদের প্রতিদিনের ব্যবহার্য পোশাক-পরিচ্ছদ, কসমেটিকস থেকে শুরু করে ঘর গৃহস্থলীর প্রয়োজনীয় হরেক রকম পণ্যের অপূর্ব সমাহার লক্ষণীয় ঢাকার শপিংমলগুলোতে। সব শ্রেণির ক্রেতাদের উপযোগি শপিং সেন্টার রয়েছে এ শহরে। ঢাকা শহরের জনপ্রিয় শপিং মলের মধ্যে নিউ মার্কেট, গাউসিয়া মার্কেট, চাঁদনী মার্কেট, পলওয়েল মার্কেট, রাজধানী সুপার মার্কেট ও বসুন্ধরা সিটি অন্যতম। এগুলোতে বিভিন্ন পণ্যের দোকান ছাড়াও রয়েছে দেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শো-রুম।
খোলা-বন্ধের সময়সূচিঃ ঢাকার শপিং কমপ্লে­ক্সগুলো সচরাচর সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

তবে জোনভেদে মার্কেটগুলোর সাপ্তাহিক বন্ধের সূচিতে পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। পুরান ঢাকার শপিং কমপ্লে­ক্সগুলো সপ্তাহের শুক্রবার পূর্ণ দিবস এবং শনিবার দিনের প্রথম অর্ধ দিবস বন্ধ থাকে। রামপুরা, বনশ্রী, খিলগাঁও, যাত্রাবাড়ি, মিরপুর, আগারগাঁও, গুলশান, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও এলাকার শপিং কমপ্লে­ক্সগুলো রবিবার পূর্ণ দিবস ও সোমবার দিনের প্রথম অর্ধ দিবস বন্ধ থাকে। নিউ মার্কেট ও ধানমন্ডি এলাকার মার্কেটগুলো মঙ্গলবার পূর্ণ দিবস ও বুধবার দিনের প্রথম অর্ধ দিবস বন্ধ থাকে। উত্তরা এলাকার মার্কেটগুলো বুধবার পূর্ণ দিবস এবং বৃহস্পতিবার দিনের প্রথম অর্ধ দিবস বন্ধ থাকে।

ঢাকার শপিং কমপ্লেক্সগুলো

গুলশান এলাকাঃ ইউ.এ.ই মৈত্রী কমপ্লে­ক্স, নাভানা টাওয়ার, পিংক সিটি শপিং কমপ্লেক্স, ইউনিকর্ন প্লাজা, ল্যান্ড মার্ক শপিং সেন্টার, ডিসিসি মার্কেট-গুলশান ১, ডিসিসি মার্কেট-গুলশান ২, বনানী সুপার মার্কেট, আলম সুপার মার্কেট, রহমান মার্কেট।

ধানমন্ডি এলাকাঃ ধানমন্ডি হকার্স মার্কেট, অরচার্ড প্লাজা, প্রিন্স প্লাজা, কেয়ারী প্লাজা, প্রিয়াঙ্গন শপিং কমপ্লে­ক্স, সীমান্ত স্কয়ার, ক্যাপিটার মার্কেট, রাপা প্লাজা, মেট্রো শপিংমল, আনাম রেংগস প্লাজা,ধানমন্ডি প্লাজা, প্লাজা এ. আর, অর্কিড প্লাজা।

উত্তরা এলাকাঃ মাসকট প্লাজা, নর্থ টাওয়ার, রাজউক কমার্সিয়াল কমপ্লে­ক্স, রাজলক্ষ্মী কমপ্লে­­ক্স, আর এ কে শপিং কমপ্লে­­ক্স।

পান্থপথ এলাকাঃ বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লে­­ক্স।

পুরাতন ঢাকাঃ সদরঘাট শরীফ মার্কেট, ইসলামপুর কাপড়ের মার্কেট, সামাদ সুপার মার্কেট, রাজধানী সুপার মার্কেট, বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেট, আলম সুপার মার্কেট-পোস্তগোলা, আজিমপুর সুপার মার্কেট, উর্দু রোড মার্কেট, গুলিস্তান সুপার মার্কেট, পীর ইয়ামেনী সুপার মার্কেট, ওয়ারী এলাকার কাপড়ের মার্কেট।

নিউ মার্কেট এলাকাঃ নিউ মার্কেট, গাউসিয়া, চাঁদনীচক মার্কেট, চন্দ্রিমা শপিং কমপ্লে­ক্স, গ্লে­াব শপিং সেন্টার, নিউ সুপার মার্কেট, লায়ন শপিং সেন্টার।

এলিফ্যান্ট রোড এলাকাঃ মাল্টিপ্লান শপিং কমপ্লে­ক্স, সুবাস্তু আর্কেড, ইস্টার্ন মল্লি­কা, চৌরঙ্গী ভবন।

ফার্মগেটঃ সেজান পয়েন্ট।

হাতিরপুল এলাকাঃ ইস্টার্ন প্লাজা, মোতালিব প্লাজা, নাহার প্লাজা।

শাহবাগ এলাকাঃ আজিজ সুপার মার্কেট,শাহবাগ সুপার মার্কেট।

মিরপুর এলাকাঃ পল্লবী শপিং মার্কেট, মিরপুর বেনারশী পল্লবী, পূরবী সুপার মার্কেট, সুইডেন প্ল­­াজা, পর্বতা টাওয়ার, তামান্না কমপ্লে­ক্স, ছায়ানীড় সুপার মার্কেট।
রামপুরা, বনশ্রী ও খিলগাঁও এলাকাঃ মোল্ল­া টাওয়ার, রামপুরা সুপার মার্কেট, আল আমিন সুপার মার্কেট, ঢাকা শপিং সেন্টার, মিতালী এন্ড ফ্রেন্ডস সুপার মার্কেট,আবেদীন টাওয়ার, আয়েশা-মোশারফ শপিং কমপ্লে­ক্স, তালতলা সিটি কর্পোরেশন মার্কেট।

মালিবাগ ও শান্তিনগর এলাকাঃ মালিবাগ সুপার মার্কেট, মৌচাক মার্কেট, কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি, টুইন টাওয়ার শপিং সেন্টার, ইস্টার্ন প্ল­­াস শপিং সেন্টার।
পল্টন এলাকাঃ পলওয়েল শপিং সেন্টার, গাজী সুপার মার্কেট, সিটি হার্ট শপিং সেন্টার।

মার্কেটগুলোতে অন্যান্য সেবা

ঢাকার মার্কেটগুলোতে বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের পাশাপাশি এটিএম বুথ, ব্যাংক, বীমা, সেলুন, বিউটি পার্লার, কাস্টমার কেয়ার, সার্ভিস সেন্টার, বিশেষজ্ঞ চেম্বার, কর্পোরেট অফিসও রয়েছে।

বিনোদন ব্যবস্থাঃ মার্কেটগুলোতে কেনাকাটার পাশাপাশি বিনোদন ব্যবস্থা রয়েছে। যেমন- সিনেমা হল, বাচ্চাদের টগি ওয়ার্ল্ড, স্পোর্টস জোন, সুইমিং পুল, গেম জোন, ব্যায়ামাগার। ঢাকার বসুন্ধরা সিটি, সীমান্ত স্কয়ার, নাহার প্লাজা, নাভানা টাওয়ার, নর্থ টাওয়ার এসব মার্কেটে আলাদা স্পোর্টস জোন রয়েছে।

লিফট, এস্কেলেটর ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাঃ ঢাকার বহুতল শপিং কমপ্লেক্সগুলোতে এক ফ্লোর থেকে অন্য ফ্লোরে যাতায়াতের জন্য রয়েছে সিঁড়ি। সিঁড়ির পাশাপাশি মার্কেটগুলোতে চলন্ত সিঁড়ি বা এস্কেলেটরও রয়েছে। আর মার্কেটগুলোতে প্যাসেঞ্জার লিফট, ক্যাপসুল লিফট ও মালামাল পরিবহনের জন্য আলাদা আলাদা লিফটও রয়েছে। গুলশান, বারিধারা, উত্তরা, হাতিরপুল, ধানমন্ডি, এলিফ্যান্ট রোড, পান্থপথ, মালিবাগ, ওয়ারীসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকার বহুতল মার্কেটগুলো সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্রীয়ভাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত।

বিল পরিশোধঃ ঢাকার সকল মার্কেটেই নগদ টাকার পাশাপাশি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে বিল পরিশোধ করা যায়। সাধারণত ব্র্যান্ড শোরুমগুলোতে ক্রেডিট কার্ড সুবিধা প্রদান করা হয়। ক্রেডিট কার্ডগুলোর মধ্যে ভিসা, মাস্টার ও সকল ধরনের এটিএম কার্ড গ্রহণ করা হয়।

ছাড়/ডিসকাউন্টঃ বছরের বিভিন্ন সময় যেমন গ্রীষ্ম, শীত ও বসন্তকালে ঢাকার বিভিন্ন মার্কেটের দোকানগুলোতে তাদের পণ্যের মূল্যে ছাড় দিয়ে থাকে। এছাড়া পহেলা বৈশাখ, ইংরেজি নববর্ষ, বড়দিন, বিশ্ব ভালবাসা দিবস, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবসেও ছাড় দিয়ে থাকে। এই ছাড়ের পরিমাণ ১০% থেকে ৫০% পর্যন্ত হয়ে থাকে।

র‌্যাফেল ড্রঃ এছাড়া ঈদ, পূজা উপলক্ষ্যে মার্কেটগুলোতে জমকালো র‌্যাফেল ড্র এর আয়োজন করা হয়। যার প্রথম পুরষ্কার ফ্ল্যাট বাড়ি থেকে শুরু করে গাড়ি পর্যন্ত দেয়া হয়।

কোন পণ্যের জন্য কোথায় যাবেন

ঢাকার সকল শপিং কমপ্লে­­ক্সগুলোতেই শাড়ি, থ্রি-পিস, শার্ট, প্যান্ট, টি-শার্ট, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, বাচ্চাদের পোশাক, ওড়না, স্কার্ফ, বোরকা, টপস, বেড সীট, পর্দা, থান কাপড় পাওয়া যায়।

শাড়ি

ঢাকার সকল শপিং কমপ্লে­­ক্সেই কম-বেশি শাড়ির দোকান রয়েছে। তবে ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত মিরপুর বেনারশী পল্ল­ী, গাউসিয়া, চাঁদনী চক মার্কেটে সকল ধরনের শাড়ি পাওয়া যায়। যেমন- বেনারশী, টাঙ্গাইল তাঁতের শাড়ি (কটন), টাঙ্গাইল হাফ সিল্ক, রাজশাহী সিল্ক, ধুপিয়ান, ঢাকাই মসলিন, কাতান, কোটা শাড়ি, ব্রোকেট শাড়ি, জামদানী শাড়ি, জর্জেট শাড়ি।

গুলশান নাভানা টাওয়ার ও পিংক সিটি শপিং কমপ্লে­­ক্স এ নির্দিষ্ট শাড়ির দোকান রয়েছে। উত্তরা এলাকার নর্থ টাওয়ার, মাসকট প্লাজায়ও পৃথক শাড়ির দোকান রয়েছে। ধানমন্ডি এলাকার অরচার্ড প্লাজা, সীমান্ত স্কয়ার, প্রিন্স প্লাজা, রাপা প্লাজা, অর্কিড প্লাজা, প্লাজা এ আর, ধানমন্ডি প্লাজায় বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও ডিজাইনের শাড়ি পাওয়া যায়। পান্থপথ বসুন্ধরা সিটি ও ফার্মগেট সেজান পয়েন্ট এ আলাদা শাড়ির দোকান রয়েছে। মালিবাগ, শান্তিনগর এলাকার কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি, ইস্টার্ন প্লাস, মৌচাক মার্কেটে শাড়ির জন্য আলাদা দোকান আছে। পুরান ঢাকার ওয়ারী, রাজধানী সুপার মার্কেট, পোস্তগোলা আলম সুপার মার্কেট, গ্রেটওয়াল শপিং কমপ্লে­­­ক্স, বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেটে শাড়ির বিশাল সমাহার রয়েছে।

রামপুরা বনশ্রীর মোল্লা টাওয়ার, ঢাকা শপিং সেন্টার, আয়েশা মোশারফ শপিং কমপ্লে­­ক্স পাবেন পছন্দসই বিভিন্ন ডিজাইনের শাড়ি। ব্র্যান্ডের শাড়ি দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে- জ্যোতি, নীল আচঁল, প্রাইড, হানিফ, নবরূপা, টাঙ্গাইল তাঁতঘর, সপুরা সিল্ক, দোয়েল সিল্ক, হানিফ বেনারশী, ভাসাবি। পাইকারি হারে শাড়ি ক্রয়ের জন্য রয়েছে ঢাকার ইসলামপুর শাড়ির মার্কেট।

সালোয়ার কামিজ

বিশেষত সালোয়ার কামিজ এর জন্য ঢাকার চাঁদনী চক, গাউসিয়া ও ইসলামপুর কাপড়ের মার্কেট প্রসিদ্ধ। তবে ঢাকার সকল শপিং কমপ্লে­­­ক্সের দোকানগুলোতে বিভিন্ন ডিজাইনের সালোয়ার কামিজ পাওয়া যায়। গুলশানের নাভানা টাওয়ার, পিংক সিটি; উত্তরা মাসকট প্লাজা, নর্থ টাওয়ার, রাজলক্ষ্মী শপিং কমপ্লে­­­ক্স, ধানমন্ডি অরচার্ড প্লাজা, সীমান্ত স্কয়ার, প্রিন্স প্লাজা, মেট্রো শপিং মল, অর্কিড প্লাজা, রাপা প্লাজা; হাতিরপুল ইস্টার্ন প্লাজা, মোতালিব প্লাজা; পান্থপথ বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লে­­­ক্স, এলিফ্যান্ট রোড মাল্টি প্লান, ইস্টার্ন মল্লি­কা, নিউ মার্কেট; মালিবাগ মৌচাক মার্কেট, কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি;

রামপুরা বনশ্রী এলাকার মোল্লা টাওয়ার, ঢাকা শপিং সেন্টার, আয়েশা মোশারফ শপিং কমপ্লে­­­ক্স এবং পুরাতন ঢাকার ওয়ারী, রাজধানী সুপার মার্কেট, পীর ইয়ামেনী, পোস্তগোলা আলম সুপার মার্কেট, গ্রেটওয়াল শপিং কমপ্লে­­­ক্স, বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেটে বিভিন্ন ব্র্যান্ড, ডিজাইন ও সাইজের শর্ট, লং, সেমি লং, রাউন্ড শেপ, ধুতি, পাঞ্জাবি, লেহেঙ্গা, ব্লক, এমব্রয়ডারী, কারচুপি, এপলিক, ফুলতোলা, কুন্দল, কাথাস্ট্রিচ, মাসাককালি, আনারকলি, গাগড়া, হ্যান্ড পেইন্ট, রাউন্ড গলা, ওভাল স্কয়ার, ভিক্টোরি, পান গলা, মেট্রো গলা, আইনিক গলা, ঘটি হাতা, কুচি হাতা, নেটের হাতা, টাইডাই সহ বিভিন্ন ডিজাইনের সুতি, জর্জেট, তাঁতের সালোয়ার কামিজ পাওয়া যায়। পাইকারি হারে সালোয়ার কামিজ এর জন্য রয়েছে ঢাকার চাঁদনী চক মার্কেট।

শার্ট

গুলশানের নাভানা টাওয়ার, পিংক সিটি; উত্তরা মাসকট প্লাজা, নর্থ টাওয়ার, রাজলক্ষ্মী শপিং কমপ্লে­­­ক্স, ধানমন্ডি অরচার্ড প্লাজা, সীমান্ত স্কয়ার, প্রিন্স প্লাজা, মেট্রো শপিংমল, অর্কিড প্লাজা, রাপা প্লাজা; এলিফ্যান্ট রোড সুবাস্তু আর্কেড, মাল্টিপ্লান, ইস্টার্ন মল্লি­কা, নিউ মার্কেট, হাতিরপুল ইস্টার্ন প্লাজা, মোতালিব প্লাজা; পান্থপথ বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লে­­­ক্স, মালিবাগ মৌচাক মার্কেট, কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি; রামপুরা বনশ্রী এলাকার মোল্লা টাওয়ার, ঢাকা শপিং সেন্টার, আয়েশা মোশারফ শপিং কমপ্লে­ক্স; পল্টন পলওয়েল শপিং সেন্টার, গ্লোব শপিং কমপ্লে­ক্স, শাহবাগ আজিজ সুপার মার্কেট এবং পুরাতন ঢাকার ওয়ারী, রাজধানী সুপার মার্কেট, পীর ইয়ামেনী, পোস্তগোলা আলম সুপার মার্কেট, গ্রেটওয়াল শপিং কমপ্লে­ক্স, বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেট, রমনা ভবন মার্কেটে বিভিন্ন ব্র্যান্ড, ডিজাইন ও সাইজের ফুল হাতা, হাফ হাতা সুতি, জর্জেট, সিল্ক, গ্যাভাডিন, জিন্স, তাঁত ও গ্রামীণ চেক এর শার্ট পাওয়া যায়।
ব্র্যান্ড শার্ট এর দোকানগুলো হলো – ক্যাটস আই, মুনসুন রেইন, দর্জি বাড়ি, আর্টিস্টি, ইয়োলো, মেনজ ক্লাব, ইনফিনিটি, লুবনান, রিচম্যান, প্লাস পয়েন্ট, ব্যাঙ। পাইকারি হারে শার্ট ক্রয়ের জন্য রয়েছে পোস্তগোলা আলম মার্কেট, বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেট, জিনজিরা কালিগঞ্জ মার্কেট।

প্যান্ট

গুলশানের নাভানা টাওয়ার, পিংক সিটি; উত্তরা মাসকট প্লাজা, নর্থ টাওয়ার, রাজলক্ষ্মী শপিং কমপ্লেক্স, ধানমন্ডি অরচার্ড প্লাজা, সীমান্ত স্কয়ার, প্রিন্স প্লাজা, মেট্রো শপিং মল, অর্কিড প্লাজা, রাপা প্লাজা; হাতিরপুল ইস্টার্ন প্লাজা, মোতালিব প্লাজা; পান্থপথ বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স, মালিবাগ মৌচাক মার্কেট, কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি; রামপুরা বনশ্রী এলাকার মোল্ল­া টাওয়ার, ঢাকা শপিং সেন্টার, আয়েশা মোশারফ শপিং কমপ্লে­ক্স; পল্টন পলওয়েল শপিং সেন্টার, গ্লোব শপিং কমপ্লে­ক্স; শাহবাগ আজিজ সুপার মার্কেট এবং পুরাতন ঢাকার ওয়ারী, রাজধানী সুপার মার্কেট, পোস্তগোলা আলম সুপার মার্কেট, গ্রেটওয়াল শপিং কমপ্লে­ক্স, পীর ইয়ামেনী, বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেট, রমনা ভবন মার্কেটে বিভিন্ন ব্র্যান্ড, ডিজাইন ও সাইজের ফুল হাতা, হাফ হাতা সুতি, জর্জেট, সিল্ক, গ্যাভাডিন, জিন্স এর প্যান্ট পাওয়া যায়। ব্র্যান্ড প্যান্ট এর দোকানগুলো হলো- ক্যাটস আই, মুনসুন রেইন, দর্জি বাড়ি, আর্টিস্টি, ইয়োলো, মেনজ ক্লাব, ইনফিনিটি, লুবনান, রিচম্যান, প্লাস পয়েন্ট, ব্যাঙ। পাইকারি হারে প্যান্ট ক্রয়ের জন্য রয়েছে পোস্তগোলা আলম মার্কেট, বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেট, জিনজিরা কালিগঞ্জ মার্কেট।

টি শার্ট

গুলশানের নাভানা টাওয়ার, পিংক সিটি; উত্তরা মাসকট প্লাজা, নর্থ টাওয়ার, রাজলক্ষ্মী শপিং কমপ্লে­­­ক্স, ধানমন্ডি অরচার্ড প্লাজা, সীমান্ত স্কয়ার, প্রিন্স প্লাজা, মেট্রো শপিং মল, অর্কিড প্লাজা, রাপা প্লাজা; হাতিরপুল ইস্টার্ন প্লাজা, মোতালিব প্লাজা; পান্থপথ বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লে­­­ক্স, মালিবাগ মৌচাক মার্কেট, কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি; রামপুরা বনশ্রী এলাকার মোল্লা  টাওয়ার, ঢাকা শপিং সেন্টার, আয়েশা মোশারফ শপিং কমপ্লে­­­ক্স; পল্টন পলওয়েল শপিং সেন্টার,  গ্লোব শপিং কমপ্লে­­­ক্স; শাহবাগ আজিজ সুপার মার্কেট এবং পুরাতন ঢাকার ওয়ারী, রাজধানী সুপার মার্কেট, পোস্তগোলা আলম সুপার মার্কেট, গ্রেটওয়াল শপিং কমপ্লে­­­ক্স, পীর ইয়ামেনী, বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেট, রমনা ভবন মার্কেটে বিভিন্ন ব্র্যান্ড, ডিজাইন ও সাইজের ফুল হাতা, হাফ হাতা সুতি, জর্জেট, সিল্ক, ব্ল­ক, এমব্রয়ডারী, হ্যান্ড পেইন্ট এর টি-শার্ট পাওয়া যায়। ব্র্যান্ড টি-শার্ট এর দোকানগুলো হলো-নিত্য উপহার, নাগরদোলা, দাড়কাক, সাদাকালো, আরশি, আর্টিজান, টু-লেট, দর্জি বাড়ি, আর্টিস্টি, ইয়োলো, মেনজ ক্লাব, ইনফিনিটি, লুবনান, রিচম্যান, ব্যাঙ।

পাঞ্জাবি

ঢাকার এলিফ্যান্ট রোড ও চাঁদনী চক মার্কেট মোড় থেকে সাইন্স ল্যাব মোড় পর্যন্ত সিংহভাগ দোকানগুলো পাঞ্জাবির। এসব দোকানে ছেলে-বুড়ো সকল বয়সের, বিভিন্ন ডিজাইনের সুতি, সিল্ক, জর্জেট ও তাঁতের তৈরি বিভিন্ন ডিজাইনের শর্ট, লং, সেমি লং পাঞ্জাবি, পায়জামা, ফতুয়া, সেরওয়ানী পাওয়া যায়।
এছাড়া গুলশানের নাভানা টাওয়ার, পিংক সিটি; উত্তরা মাসকট প্লাজা, নর্থ টাওয়ার, রাজলক্ষ্মী শপিং কমপ্লে­ক্স, ধানমন্ডি অরচার্ড প্লাজা, সীমান্ত স্কয়ার, প্রিন্স প্লাজা, মেট্রো শপিংমল, অর্কিড প্লাজা, রাপা প্লাজা; হাতিরপুল ইস্টার্ন প্লাজা, মোতালিব প্লাজা; পান্থপথ বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লে­ক্স, মালিবাগ মৌচাক মার্কেট, কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি; রামপুরা বনশ্রী এলাকার মোল্লা টাওয়ার, ঢাকা শপিং সেন্টার, আয়েশা মোশারফ শপিং কমপ্লে­ক্স; পল্টন পলওয়েল শপিং সেন্টার,  গ্লো ব শপিং কমপ্লে­ক্স; শাহবাগ আজিজ সুপার মার্কেট এবং পুরাতন ঢাকার ওয়ারী, রাজধানী সুপার মার্কেট, পোস্তগোলা আলম সুপার মার্কেট, গ্রেটওয়াল শপিং কমপ্লেক্স, পীর ইয়ামেনী, বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেট, রমনা ভবন মার্কেটে বিভিন্ন ব্র্যান্ড, ডিজাইন ও সাইজের ফুল হাতা, হাফ হাতা সুতি, জর্জেট, সিল্ক, ব্লক, এমব্রয়ডারী, হ্যান্ড পেইন্ট এর পাঞ্জাবি পাওয়া যায়। পাইকারি হারে পাঞ্জাবি ক্রয়ের জন্য রয়েছে সদরঘাট শরীফ মার্কেট ও উর্দু রোড মার্কেট।

বাচ্চাদের পোশাক

ঢাকার সকল মার্কেটেই বাচ্চাদের পোশাকের দোকান রয়েছে। বাচ্চাদের ব্র্যান্ডের শোরুমগুলোর মধ্যের রয়েছে – শৈশব, কিডস এন্ড মমস। পাইকারি হারে বাচ্চাদের পোশাক ক্রয়ের জন্য রয়েছে সদরঘাট শরীফ মার্কেট ও উর্দু রোড মার্কেট।

বোরখা ও ওড়না

ঢাকার গাউসিয়া মার্কেট ও ইসলামপুর মার্কেটে বোরখা ও ওড়না পাওয়া যায়। এসব মার্কেটে দেশি, পাকিস্তানি, সৌদি, ইরানী, সর্ট ও লং উভয় ধরনের বোরখা পাওয়া যায়।

জুতা

ঢাকার সকল মার্কেটে আলাদা জুতার দোকান রয়েছে। দেশি জুতার পাশাপাশি এসব মার্কেটে বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জুতাও পাওয়া যায়। এলিফ্যান্ট রোড চৌরঙ্গী ভবন, পল্টন পলওয়েল সুপার মার্কেট, গুলশানের নাভানা টাওয়ার, পিংক সিটি; উত্তরা মাসকট প্লাজা, নর্থ টাওয়ার, রাজলক্ষ্মী শপিং কমপ্লে­ক্স, ধানমন্ডি অরচার্ড প্লাজা, সীমান্ত স্কয়ার, প্রিন্স প্লাজা, মেট্রো শপিং মল, অর্কিড প্লাজা, রাপা প্লাজা; হাতিরপুল ইস্টার্ন প্লাজা, মোতালিব প্লাজা; পান্থপথ বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লে­ক্স, মালিবাগ মৌচাক মার্কেট, কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি; রামপুরা বনশ্রী এলাকার মোল্লা টাওয়ার, ঢাকা শপিং সেন্টার, আয়েশা মোশারফ শপিং কমপ্লে­ক্স; পল্টন পলওয়েল শপিং সেন্টার, পুরাতন ঢাকার রাজধানী সুপার মার্কেট, গ্রেটওয়াল সুপার মার্কেট।
ব্র্যান্ডের জুতার শোরুমগুলোর মধ্যে রয়েছে- বাটা, এপেক্স গ্যালারী, বে-এম্পেরিয়াম, জেনিস, পেগাসাস, জাম্প। পাইকারি হারে জুতা ক্রয়ের জন্য রয়েছে গুলিস্তান হকার্স মার্কেট ও চকবাজার।

ব্যাগ

ঢাকার মার্কেটগুলোর একটি আইটেম হচ্ছে ব্যাগ। যেমন-স্কুল ব্যাগ, ট্রাভেল ব্যাগ, কলেজ ব্যাগ, অফিস ব্যাগ, ব্রিফকেস, স্যুটকেস ভ্যানিটি ব্যাগ। সকল মার্কেটেই ব্যাগ পাওয়া গেলেও ব্যাগের জন্য ঢাকার মার্কেটগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- বায়তুল মোকাররম মার্কেট, মৌচাক মার্কেট, নিউ মার্কেট, সদরঘাট মার্কেট, বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লে­ক্স, নর্থ টাওয়ার, চকবাজার। ব্র্যান্ডের ব্যাগগুলোর মধ্যে রয়েছে- প্রেসিডেন্ট, স্যামসোনাইট, টোকিও। ব্যাগের পাইকারি মার্কেটটি ঢাকার চকবাজারে অবস্থিত।

জুয়েলার্স

ঢাকার জুয়েলার্স বা সোনারু সম্প্রদায়ের অবাধ বিচরণ লক্ষ্য করা যায় ঢাকার তাঁতীবাজারে। এই এলাকায় শতাধিক জুয়েলার্স সপ অবস্থিত। এছাড়া ঢাকার মৌচাক, বায়তুল মোকাররম, বসুন্ধরা সিটি, নাভানা টাওয়ার, নর্থ টাওয়ার, কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি, ইস্টার্ন প্লাজা, সীমান্ত স্কয়ার, ইস্টার্ন মল্লি­কা, নিউ মার্কেটসহ সকল মার্কেটেই জুয়েলার্স শপ রয়েছে। ব্র্যান্ড জুয়েলার্স শপগুলোর মধ্যে রয়েছে- গীতাঞ্জলি জুয়েলার্স, ভেনাস জুয়েলার্স, আপন জুয়েলার্স, আমিন জুয়েলার্স, সানন্দা জুয়েলার্স, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড।

ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী

ঢাকার বেশ কিছু মার্কেটে ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী পাওয়া যায়। এসব মার্কেটে টিভি, ফ্রিজ, মোবাইল, এয়ার কন্ডিশন, ইলেকট্রিক ইস্ত্রি, সিডি, কম্পিউটার পাওয়া যায়। তবে দেশের সর্ববৃহৎ ইলেকট্রনিক্স মার্কেটটি ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম এলাকায় অবস্থিত।

মোবাইল মার্কেট

ঢাকার সকল মার্কেটেই আলাদা মোবাইলের দোকান রয়েছে। তবে ইস্টার্ন প্ল­াজা, মোতালিব প্লাজা, বসুন্ধরা সিটি, নাভানা টাওয়ার, নর্থ টাওয়ার, মাসকট প্লাজা, সীমান্ত স্কয়ার, স্টেডিয়াম মার্কেট, গ্রেটওয়াল শপিং সেন্টার এসব মার্কেটে অসংখ্য পাইকারি ও খুচরা মোবাইলের দোকান রয়েছে। এসব মার্কেটে নতুন মোবাইল ফোনের পাশাপাশি মোবাইলের সিম কার্ড, ইন্টারনেট মডেম, মোবাইলের যন্ত্রাংশ, সার্ভিস সেন্টারও রয়েছে। দেশের মোবাইল যন্ত্রাংশের পাইকারি মার্কেটটি ঢাকার গুলিস্তান পাতাল মার্কেট ও সুন্দরবন স্কোয়ারে অবস্থিত।

কম্পিউটার মার্কেট

ঢাকার এলিফ্যান্ট রোড এলাকায় একাধিক কম্পিউটার মার্কেট রয়েছে। এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্লান, সুবাস্তু আর্কেড, শেলটেক সিয়েরা এসব মার্কেটে অসংখ্য কম্পিউটারের দোকান রয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় কম্পিউটার মার্কেটটি ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বিসিএস কম্পিউটার সিটি।

বাচ্চাদের খেলনা

বাচ্চাদের খেলনার জন্যও ঢাকার মার্কেটগুলোতে আলাদা দোকান রয়েছে। এসব দোকানে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ধরনের খেলনা পাওয়া যায়। বাচ্চাদের খেলনার পাইকারি মার্কেটটি ঢাকার চকবাজারে অবস্থিত।

কসমেটিকস

ঢাকার সকল মার্কেটেই কসমেটিকস এর আলাদা দোকান রয়েছে। এসব দোকানে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রসাধনী সামগ্রী পাওয়া যায়। ঢাকার কসমেটিকস এর পাইকারি মার্কেটটি চকবাজার সংলগ্ন মৌলভীবাজারে অবস্থিত।

ফুডস জোন

শপিং কমপ্লে­ক্সগুলোর একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হচ্ছে ফুডস জোন। এজন্য সকল শপিং কমপ্লে­ক্সেই আলাদা ফুডস রয়েছে। যেমন- বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লে­ক্স, নিউ মার্কেট, মৌচাক মার্কেট, নাভানা টাওয়ার, নর্থ টাওয়ার, সীমান্ত স্কয়ার, রাপা প্লাজা, কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি। এসব ফুডস জোনে বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি খাবার পাওয়া যায়।

About পরিবার.নেট

পরিবার বিষয়ক অনলাইন ম্যাগাজিন ‘পরিবার ডটনেট’ এর যাত্রা শুরু ২০১৭ সালে। পরিবার ডটনেট এর উদ্দেশ্য পরিবারকে সময় দান, পরিবারের যত্ন নেয়া, পারস্পরিক বন্ধনকে সুদৃঢ় করা, পারিবারিক পর্যায়েই বহুবিধ সমস্যা সমাধানের মানসিকতা তৈরি করে সমাজকে সুন্দর করার ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। পরিবার ডটনেট চায়- পারিবারিক সম্পর্কগুলো হবে মজবুত, জীবনে বজায় থাকবে সুষ্ঠুতা, ঘরে ঘরে জ্বলবে আশার আলো, শান্তিময় হবে প্রতিটি গৃহ, প্রতিটি পরিবারের সদস্যদের মানবিক মান-মর্যাদা-সুখ নিশ্চিত হবে । আগ্রহী যে কেউ পরিবার ডটনেট এর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ যেকোনো বিষয়ে লেখা ছাড়াও পাঠাতে পারেন ছবি, ভিডিও ও কার্টুন। নিজের শখ-স্বপ্ন-অনুভূতি-অভিজ্ঞতা ছড়িয়ে দিতে পারেন সবার মাঝে। কনটেন্টের সাথে আপনার নাম-পরিচয়-ছবিও পাঠাবেন। ইমেইল: poribar.net@gmail.com

View all posts by পরিবার.নেট →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *